ময়মনসিংহে পুলিশের হাতে এ পর্যন্ত ৩ জন হেফাজতের নেতা গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে একজন খুব প্রভাবশালী হেফাজত নেতা। তার নাম হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছে। তিনি একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।

তার মোবাইল সার্চ করে পুলিশ গুরুত্ব পূর্ন তথ্য পেয়েছেন। তিনি প্রায় প্রতিদিনই পর্ণো সাইডে ঢুকতেন বলেও প্রমান রয়েছে। তাকে ২৮ এপ্রিল গ্রেফতারের পরই ক্ষমতাশীন দলের একজন প্রতিমন্ত্রী ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে তদবির করেছেন। তার পারিবাবিক সুত্র জানায়, তিনি পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তাকে ফোন করে তদবির করেন।

তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। এমন কাথাই শহরের ১নং ওয়ার্ডে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। তবে পুলিশের একাধিক সূত্রের সাথে যোগাযোগ করেও তার কোন সত্যতা নিশ্চিৎ করা যায়নি।

পরিবারের সূত্রটি আরো জানায়, ২৮ মার্চ হরতাল চলা সময়ে শহরের কাঠগোলা থেকে পিকেটিং করা সময় মিলন আটক হলে মূহুর্তেই সেই প্রতিমন্ত্রী ফোন করে তাকে ছাড়িয়ে নেন।

এই পর্যন্ত ময়মনসিংহ পুলিশের হাতে শীর্ষ স্থানীয় ৩ হেফাজত নেতা গ্রেফতার হয়েছে। তারা হলেন, ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, জামিয়া আরাবিয়া মাখজালুম মাদ্রাসার ছাত্র খালিদ মাহমুদ সারোয়ার হোসেন ও হাফেজ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান।
সারা দেশব্যাপী হেফাজতের নাশকতার অংশ হিসেবে গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহে নাশকতা সৃষ্টি করে ব্যাপক ভাংচুর, জনযান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরার অভিযোগে পরদিন কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত সাড়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ জন ব্যক্তিকে আসামী করে ১২৫ নং মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যাপক স্বাক্ষ প্রমান সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে, আসামী সনাক্ত এর মাধ্যমে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেন।
সুত্র জানায়, গত ১১ এপ্রিল ময়মনসিংহ শহরের সানকি পাড়া এলাকা থেকে ওয়াসেক বিল্লাহ নোমান কে গ্রেফতার হন। ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে তালতলা জামিয়া আরাবিয়া মাখজালুম মাদ্রাসার ছাত্র খালিদ মাহমুদ সারোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৮ এপ্রিল পুলিশ গ্রেফতার করেন জামিয়া আরাবিয়া মাখজালুম মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমানকে । তাদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাপক তথ্য পায়।

ধর্মের নামে আন্দোলনের কথা বলে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার মানসিকায় হেফাজতের সারা দেশব্যাপী নাশকতার অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরে ব্যাপক নাশকতা চালায়। বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে কোমলমতি ছেলেদের নিয়ে কতিপয় ধর্মীয় নেতা ও আলেম এবং দাওরা হাদিসের ছাত্রদের নেতৃত্বে গত ২৮ মার্চ শহরের বিভিন্ন স্থানে সরকারি কাজে বাধাঁ, সরকারি সম্পদ ভাংচুর, যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে নাশকতা চালায়। দায়িত্বরত পুলিশ প্রায় শ’খানেক গ্যাসসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এসময় কোতোয়ালী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদারসহ ৭ জন আহত হয়। পর দিন এসআই আবুল কাশেম বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় ১২৫ নং মামলা দায়ের করেন।